Aindrila Sharma-Sabyasachi Chowdhury: ‘অমানুষিক লড়াই করছে ঐন্দ্রিলা,মিরাকল হোক' প্রার্থনা সব্যসাচীর
Aindrila Sharma-Sabyasachi Chowdhury: সোমবার জানা যায়, অবস্থার অবনতি না হলেও উন্নতিও হয়নি তাঁর। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনার আবেদন করতে নিমেষেই কয়েক হাজার নেটিজেন কমেন্ট বক্সে জানান যে, তাঁরা সবাই ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করছে। সবাই তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায়।
Aindrila Sharma-Sabyasachi Chowdhury, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লড়াই জারি রেখেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। সোমবার ১৪ তম দিনেও জ্ঞান ফেরেনি অভিনেত্রীর। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন নেটপাড়া থেকে শুরু করে তাঁর সহকর্মী ও পরিবার। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে হাসপাতালেই বিনিদ্র রাত্রি কাটছে তাঁর বিশেষ বন্ধু সব্যসাচীর। সোমবার ফের বান্ধবীর জন্য ফেসবুকে লিখলেন সব্যসাচী। তিনি লিখেছেন, ‘কোনওদিন এটা এখানে লিখব ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন। মিরাকলের জন্য প্রার্থনা করুন। সুপার ন্যাচরালের জন্য প্রার্থনা করুন। খারাপ পরিস্থিতিতেও অমানুষিক লড়াই জারি রেখেছে ও।’ সব্যসাচীর পোস্ট দেখে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা।
আরও পড়ুন-Salman Khan in Kolkata: কলকাতায় ভাইজান, সলমানকে কাছ থেকে দেখার খরচ ৩ লক্ষ!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফ থেকে সব্যসাচীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘ঐন্দ্রিলা অবশেষে ফিরবেই।’ শনিবার হাসপাতাল সূত্রে খবর ছিল, সংক্রমণ বেড়েছে ঐন্দ্রিলার। রয়েছে জ্বরও। তাঁর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। এদিন বাড়ানো হয়েছিল ঐন্দ্রিলার ভেন্টিলেশনের মাত্রা। শুক্রবারের তুলনায় তাঁর অবস্থার সামান্য অবনতি হয়েছে। তবে সোমবার জানা যায়, অবস্থার অবনতি না হলেও উন্নতিও হয়নি তাঁর। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনার আবেদন করতে নিমেষেই কয়েক হাজার নেটিজেন কমেন্ট বক্সে জানান যে, তাঁরা সবাই ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করছে। সবাই তাঁর ফিরে আসার অপেক্ষায়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর সব্যসাচী লিখেছিলেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি। আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক্ থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।’