উত্তম কোনও মেয়ের দিকে তাকালেই বেণু চোখ চেপে ধরত : ললিতা চট্টোপাধ্যায়

খুব কষ্ট পেয়েছেন। বেণুদি (সুপ্রিয়া দেবী) অত্যন্ত কাছের ছিলেন অভিনেত্রী ললিতা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে বেণুদির সঙ্গে কাটানো অনেক স্মৃতি ভাগ করে নিলেন ললিতা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, কেউই তার প্রিয়জনকে হারাতে চায় না, হঠাৎ খবর পেয়ে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন।  

Updated By: Jan 26, 2018, 10:22 PM IST
উত্তম কোনও মেয়ের দিকে তাকালেই বেণু চোখ চেপে ধরত : ললিতা চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : সুপ্রিয়াদেবীর সঙ্গে উত্তম কুমারের সম্পর্কের কথা সকলেরই জানা। মহানায়ককে ভীষণ ভালোবাসতে সুপ্রিয়া দেবী, তাঁকে যত্নও করতে ভীষণ। রান্না করে খাওয়াতেন মহানায়কের পছন্দের খাবার। যার মধ্যে ভেটকি মাছে 'কাঁটা চচ্চরি'র গল্প হয়ত বা অনেকেই জানেন। সুপ্রিয়া দেবী উত্তম কুমারের প্রতি ভীষণ পজেসিভও ছিলেন। মহানায়কও সুপ্রিয়াদেবীর কাছে খুঁজে পেয়েছিলেন আশ্রয়। কেমন ছিল বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় এই জুটির সম্পর্ক? তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েই অনেক কথা, অনেক স্মৃতি ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী ললিতা চট্টোপাধ্যায়।

বললেন, ''১৯৬৪ থেকে ওকে চিনি। খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে চিনি। একসঙ্গে মেলামেশা করেছি পার্টি করেছি, কত আড্ডা, ভোলা যায় না। খুব কষ্ঠ হচ্ছে। চেষ্টা করিছি সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসার, পারিছি না।'' 

সেসময়ে ছবির শ্যুটিং সেটের একটি ঘটনাও শেয়ার করেন ললিতা চট্টোপাধ্যায়। বললেন, ''উত্তমের সঙ্গে আমার একটা ছবির শ্যুটিংয়ে আউটডোরে গেছি। বেণুও গেছে (সুপ্রিয়া দেবী)। ওর সব সময় মনে হত উত্তম বোধহয় অন্যকোনও মেয়ের দিতে তাকাচ্ছে। উত্তম তাকাতও (হেসে ফেলে) কারণ সব মেয়েরাই তো উত্তমের জন্য পাগল ছিল। ও উত্তমের চোখটা হাত দিয়ে চেপে ধরত, বলত, না না অন্য কোনোও মেয়ের দিকে তাকাবে না। বলত, রুনুর (ললিতা চট্টোপাধ্যায়) দিকে তাকাবে না। যদিও ও জানত রুনুর থেকে কোনও সমস্যা নেই। ''

'' আমি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলাম। তখন আমি চেয়েছিলাম উত্তম আমার বিয়েতে সাক্ষী থাকুক। তো উত্তম এসে ধুতি পাঞ্জাবি পরে আমার পাশে বসেছিল। ঠিক তখন বেণু ঢুকে বলল, এই তো বর-বউ হয়ে গেছে। আর দরকার নেই তো বরের।''

শুধু তাই নয়, উত্তম কুমার যখন অসুস্থ ছিলেন, তখনও বেণু তাঁর ভীষণ খেয়াল রাখত বলেও জানালেন ললিতাদেবী। বলেন, ''একবার উত্তম অসুস্থ, বেণু কাউকে যেতে দিচ্ছেন না ওর কাছে। তখন আমি দেখতে গিয়ে বললাম আমাকে যেতেই হবে। আমি গেলাম, উত্তম একটুখানি তাকিয়ে কিছু একটা বলল। তারপর বেণু বলল, বেরো বেরো, নিশ্চয় বাজে কথা বলেছে, সাংঘাতিক ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেছে। আমি তো ভীষণ ভয় পেয়ে গেলাম, থতমত খেয়ে বেরিয়ে এলাম।...এই রকম মজা করত বেণু।''  

আরও পড়ুন- 'জননী' নেই, স্মৃতির সরণিতে বিশিষ্টরা

.