প্রয়াণবার্ষিকীতে কবি জীবনানন্দের জীবনের অজানা ৫টি তথ্য
চাওয়া আর পাওয়ার ফারাকের মাঝে বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠকে সযত্লে কুড়ানো নিখাদ বাংলা রূপকে সাজিয়েছিলেন তিনি। সমকালীন বোদ্ধাদের কাঠে সামালোচিত হলেও ক্রমশ পাঠকমননে ভাস্বর হয়ে উঠেছে সেই নস্ট্যালজিয়া। ভাগ্যিস থেমে যাননি তিনি। কবি জীবনানন্দ দাশের ৬৩তম প্রয়াণবার্ষিকিতে তাঁর জীবনের অজানা ৫টি তথ্য
১. জীবনানন্দ দাশের আসল নাম জীবনানন্দ দাশগুপ্ত। বাংলাদেশের বরিশালের বিক্রমপুরের বাসিন্দা জীবনানন্দ ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনে যুক্ত হয়ে নাম থেকে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের চিহ্ন বাদ দিয়ে হন জীবনানন্দ দাশ। পরে এই নামেই বিখ্যাত হন তিনি।
২. প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরাজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন জীবনানন্দ। স্নাতকোত্তরের পরীক্ষার আগে গভীরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন তিনি। যদিও সেই ফলাফলের কোনও প্রভাব তাঁর জীবনে। বাংলা কাব্যে তাঁর অবদান তাঁকে অমরত্ব দিয়েছে।
৩. 'ব্রহ্মবাদী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় জীবনানন্দের প্রথম কবিতা।
৪. ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয় জীবনানন্দের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ঝরাপালক'। রবীন্দ্রনাথকে গ্রন্থের একটি কপি পাঠিয়েছিলেন কবি। জবাবও দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাতে প্রশংসার থেকে সমালোচনাই ছিল বেশি। জবাবে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, 'তোমার কবিত্ববোধ আছে এতে সন্দেহ নাই। কিন্তু ভাষা প্রবৃত্তি নিয়ে এত জবরদস্তি কর কেন বুঝতে পারি নে। কাব্যের মুদ্রাদোষটা ওস্তাদীকে পরিহাসিত করে।'
৫. সমকালীন কবিদের কাছে হতাশাবাদী বলে চিরকাল সমালোচিত হয়েছেন জীবনানন্দ। অনেকে সম্পাদক তাঁর কবিতা প্রকাশে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তবু দমে যাননি জীবনানন্দ। লাগাতার লেখা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।